টেকনিক্যাল এসইও হচ্ছে ওয়েবসাইটের পিছনের দিকের কাজগুলো করা যাতে সার্চ ইঞ্জিনগুলো সাইটটিকে ভালোভাবে বুঝতে পারে। এর মধ্যে আছে সাইটের লোড স্পিড বাড়ানো, মোবাইলে ভালো দেখানো, সাইটম্যাপ তৈরি করা, ছবিগুলোর নাম ঠিক করা, লিংকগুলো ঠিকমতো চেক ইত্যাদি। এগুলো করার জন্য প্রথমে সাইটটি ভালো করে দেখতে হবে। তারপর যেসব জায়গায় সমস্যা আছে সেগুলো খুঁজে বের করতে হবে। এরপর ধীরে ধীরে সেই সমস্যাগুলো ঠিক করতে হবে। যেমন সাইট যদি ধীরে লোড হয় তাহলে ছবিগুলো ছোট করে দিতে হবে। মোবাইলে ভালো না দেখালে ডিজাইন পরিবর্তন করতে হবে। লিংক ভাঙা থাকলে সেগুলো ঠিক করতে হবে। এভাবে একটা একটা করে সব ঠিক করলে সাইটটি সার্চ ইঞ্জিনের কাছে ভালো লাগবে এবং র্যাঙ্কিং ভালো হবে।
টেকনিক্যাল এসইও কি?
টেকনিক্যাল এসইও হল ওয়েবসাইটের পিছনের দিকের কাজগুলো করা যাতে সার্চ ইঞ্জিনগুলো সাইটটিকে ভালোভাবে বুঝতে পারে। এর মধ্যে আছে সাইটের লোড স্পিড বাড়ানো, মোবাইলে ভালো দেখানো, সাইটম্যাপ তৈরি করা, ছবিগুলোর নাম ঠিক করা, লিংকগুলো ঠিকমতো দেওয়া ইত্যাদি। এসব কাজ করলে সাইটের র্যাঙ্কিং ভালো হয় এবং সার্চ রেজাল্টে উপরে আসে।
টেকনিক্যাল এসইও কেন গুরুত্বপূর্ণ?
টেকনিক্যাল এসইও খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটা সাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের কাছে প্রিয় করে তোলে। এর ফলে সাইটের র্যাঙ্কিং ভালো হয়, বেশি ভিজিটর আসে, এবং ব্যবসা বাড়ে। এছাড়া টেকনিক্যাল এসইও করলে সাইট ফাস্ট হয়, ভিজিটররা ভালো এক্সপেরিয়েন্স পায়, এবং সাইটের ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বাড়ে।
টেকনিক্যাল এসইও-এর মূল বিষয়গুলো কি কি?
টেকনিক্যাল এসইও-এর মূল বিষয়গুলো হল:
- সাইটের লোড স্পিড বাড়ানো
- মোবাইল ফ্রেন্ডলি ডিজাইন করা
- সাইটম্যাপ তৈরি করা
- ছবির অপ্টিমাইজেশন
- লিংক স্ট্রাকচার ঠিক করা
- এইচটিএমএল কোড স্ট্রাকচার ঠিক করা
- সিকিউরিটি বাড়ানো
- ইউআরএল স্ট্রাকচার ঠিক করা
সাইটের লোড স্পিড কিভাবে বাড়ানো যায়?
সাইটের লোড স্পিড বাড়ানোর কয়েকটি উপায় হল:
- ছবিগুলো কম্প্রেস করা
- ক্যাশিং ব্যবহার করা
- অপ্রয়োজনীয় কোড ও প্লাগইন সরানো
- সিডিএন ব্যবহার করা
- ফাস্ট হোস্টিং ব্যবহার করা
- ব্রাউজার ক্যাশিং এনাবল করা
এগুলো করলে সাইট দ্রুত লোড হবে, ভিজিটররা খুশি হবে এবং সার্চ ইঞ্জিনও ভালো র্যাঙ্ক দেবে।
মোবাইল ফ্রেন্ডলি ওয়েবসাইট কিভাবে তৈরি করা যায়?
মোবাইল ফ্রেন্ডলি ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য:
- রেসপন্সিভ ডিজাইন ব্যবহার করা।
- বড় ফন্ট ও বাটন ব্যবহার করা।
- টাচ-ফ্রেন্ডলি মেনু তৈরি করা।
- ইমেজ ও ভিডিও অপ্টিমাইজ করা।
- কন্টেন্ট ছোট ছোট অংশে ভাগ করা।
- পপ-আপ এড়িয়ে চলা।
সাইটম্যাপ কি এবং কেন গুরুত্বপূর্ণ?
সাইটম্যাপ হল আপনার ওয়েবসাইটের সব পেজের একটা তালিকা। এটা XML ফরম্যাটে তৈরি করা হয়। সাইটম্যাপ গুরুত্বপূর্ণ কারণ:
- সার্চ ইঞ্জিন সব পেজ সহজে খুঁজে পায়
- নতুন কন্টেন্ট দ্রুত ইনডেক্স হয়
- সাইটের স্ট্রাকচার বোঝা সহজ হয়
- সার্চ ইঞ্জিনকে পেজের প্রায়োরিটি জানানো যায়
সাইটম্যাপ তৈরি করে গুগল সার্চ কনসোলে সাবমিট করলে সাইটের এসইও ভালো হয়।
ইমেজ অপ্টিমাইজেশন কেন জরুরি?
ইমেজ অপ্টিমাইজেশন খুবই জরুরি কারণ:
- সাইটের লোড স্পিড বাড়ে
- মোবাইলে ভালো এক্সপেরিয়েন্স দেয়
- সার্চ ইঞ্জিন ইমেজ বুঝতে পারে
- ইমেজ সার্চে র্যাঙ্কিং ভালো হয়
ইমেজ অপ্টিমাইজ করার জন্য ছবি কম্প্রেস করুন, সঠিক ফরম্যাট ব্যবহার করুন, অল্ট ট্যাগ দিন, এবং ছবির নাম ঠিক করুন।
লিংক বিল্ডিং কিভাবে করা যায়?
লিংক বিল্ডিং করার কয়েকটি উপায় হল:
- ভালো কন্টেন্ট তৈরি করা
- সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা
- গেস্ট পোস্টিং করা
- ব্রোকেন লিংক খুঁজে ঠিক করা
- ইন্ডাস্ট্রি এক্সপার্টদের সাথে যোগাযোগ করা
- ডাইরেক্টরি সাবমিশন করা
লিংক বিল্ডিং করলে সাইটের অথরিটি বাড়ে এবং র্যাঙ্কিং ভালো হয়।
স্ট্রাকচারড ডাটা মার্কআপ কি?
স্ট্রাকচারড ডাটা মার্কআপ হল ওয়েবসাইটের কন্টেন্টকে সার্চ ইঞ্জিনের জন্য আরো বোধগম্য করে তোলার একটি পদ্ধতি। এটা HTML কোডে যোগ করা হয়। এর ফলে:
- সার্চ রেজাল্টে রিচ স্নিপেট দেখায়
- সাইটের ক্লিক-থ্রু রেট বাড়ে
- সার্চ ইঞ্জিন কন্টেন্ট ভালো বোঝে
- ভয়েস সার্চে সুবিধা হয়
স্ট্রাকচারড ডাটা ব্যবহার করলে সাইটের ভিজিবিলিটি বাড়ে।
টেকনিক্যাল এসইও চেক করার টুল কি কি?
টেকনিক্যাল এসইও চেক করার জন্য কিছু জনপ্রিয় টুল হল:
- Google Search Console
- Google PageSpeed Insights
- Screaming Frog
- GTmetrix
- Ahrefs
- SEMrush
- Moz Pro
এই টুলগুলো ব্যবহার করে সাইটের স্পিড, এরর, ব্যাকলিংক, কিওয়ার্ড র্যাঙ্কিং ইত্যাদি চেক করা যায়। নিয়মিত চেক করলে সাইটের সমস্যা ধরা পড়ে এবং এসইও উন্নত করা যায়।
আর্টিকেলের সারসংক্ষেপ
টেকনিক্যাল এসইও হল একটি ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের জন্য আরো ভালভাবে প্রস্তুত করার প্রক্রিয়া। এটা করার জন্য অনেক কিছু করতে হয়।
প্রথমেই আসে সাইটের গতি। একটা সাইট যত দ্রুত লোড হবে, সার্চ ইঞ্জিন তাকে তত পছন্দ করবে। সাইটের গতি বাড়ানোর জন্য ছবিগুলো ছোট করতে হয়। বড় ফাইলগুলো ছোট করতে হয়। অপ্রয়োজনীয় কোড সরিয়ে ফেলতে হয়।
এরপর আসে মোবাইলে ভালো দেখানোর বিষয়টি। আজকাল বেশিরভাগ মানুষ মোবাইল দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করে। তাই সাইটটা যেন মোবাইলে সুন্দর দেখায় এবং সহজে ব্যবহার করা যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হয়।
লিংকের বিষয়টাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। সাইটের মধ্যে যেসব লিংক আছে সেগুলো যেন ঠিকমতো কাজ করে। কোনো লিংক যদি ভাঙা থাকে তাহলে সেটা ঠিক করতে হয়। বাইরের ভালো সাইটের লিংক দিলে সেটাও উপকার করে।
সাইটম্যাপ তৈরি করাও জরুরি। এটা হল সাইটের সব পেজের একটা তালিকা। এটা তৈরি করে সার্চ ইঞ্জিনকে দিলে সে সাইটের সব পেজ সহজে খুঁজে পায়।
ছবির নামকরণও গুরুত্বপূর্ণ। ছবির নাম এমন দিতে হয় যাতে সেটা বুঝতে সুবিধা হয়। ছবিতে অল্ট ট্যাগ দেওয়াও দরকার। এতে করে সার্চ ইঞ্জিন ছবির বিষয়বস্তু বুঝতে পারে।
সাইটের কোডও পরিষ্কার হওয়া উচিত। অপ্রয়োজনীয় কোড বাদ দিতে হয়। কোডের ভুল থাকলে সেগুলো ঠিক করতে হয়।
সাইটের নিরাপত্তার দিকেও নজর দিতে হয়। https ব্যবহার করা, পাসওয়ার্ড সুরক্ষিত রাখা, নিয়মিত আপডেট করা - এসব করলে সাইট নিরাপদ থাকে।
এছাড়াও সাইটের কন্টেন্ট ভালো হওয়া লাগবে। নতুন নতুন তথ্য দিতে হবে। পুরনো তথ্য আপডেট করতে হবে। এতে করে সার্চ ইঞ্জিন বুঝবে যে সাইটটা আক্টিভ।
